জাতীয় দলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ভবিষ্যৎ কী? এ নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন বিশ্বকাপ দলে না দেখলেও নির্বাচক প্যানেলের ভাবনায় এখনো সাইলেন্ট কিলারের ভূমিকায় আছেন রিয়াদ। এ ছাড়া ব্যাকআপ ওপেনার হিসেবে নজরে আছেন নাঈম শেখ। ঢাকা লিগে পারফরম করে ফেরার সুযোগ আফিফ হোসেনের সামনে।

প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানিয়েছেন, এশিয়া কাপের আগে বিশ্বকাপ দল সাজাতে চায় ক্রিকেট বোর্ড।

বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, যদি রিয়াদকে বিশ্বকাপে দেখতাম তা হলে হয়তো এই সিরিজগুলোতে থাকত। কারণ বিশ্বকাপের তো বেশি দিন নেই।

জাতীয় দলে অন্ধকার আচ্ছন্ন মাহমুদউল্লাহর ভবিষ্যৎ। বিশ্বকাপ তো বটেই। বাংলাদেশ স্কোয়াডে নেই টানা দুই সিরিজ। নির্বাচকরাও পেয়েছেন নতুনের খোঁজ।

বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ অনেকটা স্পষ্টবাদী। তবে নির্বাচক প্যানেলও কি তাই? প্রধান নির্বাচকের কথায় অবশ্য মাহমুদউল্লাহ আশার পালে মৃদু হাওয়া। ২৪ সদস্যের পুলে আছেন নাঈম শেখ, আফিফ হোসেনও।

প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, কেউ চোখের আড়াল হচ্ছে না। যাকে যখন প্রয়োজন মনে করব, তখনই তাকে ব্যবহার করব। ২৪ জন প্লেয়ার আমাদের পুল করা আছে। এখানে আলাদা কোনো নাম নেই। তাই বিশ্বকাপে এই ২৪ প্লেয়ারকেই মূল্যায়ন করা হবে।

কিন্তু প্রত্যাবর্তন যে বড্ড কঠিন। কোন পজিশনে খেলবেন মাহমুদউল্লাহ? অভিজ্ঞ মুশফিক পারফরম করছেন, লাল-সবুজ জার্সিতেও ইনফর্ম তরুণ তাওহিদ হৃদয়। বিশ্বকাপের আর যে কয় মাস বাকি, সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ খুব একটা নেই। এশিয়া কাপের আগে ওয়ানডে বিশ্বকাপের দল প্রস্তুত করতে চায় নির্বাচক প্যানেল।

নান্নু বলেন, এত বেশি খেলা যে প্লেয়ারদের ফিটনেসের ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকতে হচ্ছে। আশা করছি যে, সিরিজ ধরে ধরে প্লেয়ার রেডি করে এশিয়া কাপের মধ্যে বিশ্বকাপের জন্য পুল রেডি করব।

আয়ারল্যান্ড সিরিজের কারণে আবারও ঢাকা লিগে অনেকটা শূন্য জাতীয় দলের তারকা। ওসব পজিশনে বাকিদের সুযোগ দেখছেন প্রধান নির্বাচক। ডিপিএল পারফরমদের ঠিকানা হতে পারে ‘এ’ দল।

প্রধান নির্বাচক আরও বলেন, সামনে ‘এ’ টিমের একটা সিরিজ আছে। প্লেয়ারদের আমরা সেভাবে নজরে রাখছি। এবং এইচপির স্কোয়াডটাও আমরা রেডি করছি। এইচপির প্রোগ্রাম শুরু হবে। কারণ ইমার্জিন কাপ আছে জুনের শেষে।

আপাতত দল নির্বাচনের ব্যস্ততা নেই মিনহাজুল আবেদীনের। তাই নজর, সিলেটে টাইগারদের শেষ দিনের অনুশীলনে।